কুড়িগ্রামে নতুন করে পানিবৃদ্ধি

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে না কমতেই আবারো নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৮ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৬ সে.মি এবং ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টির ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।

বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি আর শুকনো খাবারসহ গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। টানা দু’সপ্তাহের বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮জন মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।

বন্যায় ধরলা অববাহিকার ৫০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট। কুড়িগ্রাম-সদরের বাংটুর ঘাট থেকে ফুলবাড়ী বাঁধের উপর পাকা রাস্তাটি বাংলাবাজার নামক স্থানে ভাঙনের মুখে পড়েছে।

বাঁধটি ভাঙলে ২০-৩০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার সাঞ্জুয়ার ভিটা সড়ক। তিস্তার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার নাগরাকুড়া টি-বাঁধের ৫০ ফুট এলাকা পানির প্রবল চাপে ধসে গেছে।

চর বড়লই গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ ও নাজমুল জানান, বাঁধের রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় বালুর বস্তা বাঁশের বল্লা দেওয়া হয়েছিলো। পানির প্রবল চাপে তাও ধ্বসে গেছে। এখন যেকোন মুহূর্তে রাস্তাটি ভেঙে যাবে। আমরা গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বা প্রশাসন কোন সাড়া দিচ্ছেনা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম ও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: মাছুমা ইয়াসমিন জানান, বাঁধটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন