কলকাতায় ৩৪ বছর পর বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ

কলকাতায় সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল লড়াই হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেটাও মেক্সিকো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। ওই আসরে ভারতের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর কলকাতায় সাফ গেমসে খেললেও ভারতের মুখোমুখি হয়নি লাল-সবুজের দলটি। আর আবাহনী, মোহামেডান, শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধার মতো ক্লাব অনেকবারই কলকাতায় গিয়ে ভারতীয় ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল; কিন্তু জাতীয় দল হয়নি। অবশেষে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর কলকাতায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত।

১৫ অক্টোবর কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ২০২০ সালের ৪ জুন ঢাকায় ফিরতি পর্বে লড়বে দু’দল। আর ভারতও কলকাতায় খেলেছিল আট বছর আগে। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ভারত জিতেছিল ৩-২ গোলে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের হোম ভেন্যু দুটি। একটি গৌহাটি এবং আরেকটি কলকাতা। গৌহাটিতে ৫ সেপ্টেম্বর ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মিশন শুরু করবে ভারত। ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু আফগান নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে এখনও ভেন্যু ঠিক হয়নি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজেদের হোম ভেন্যু নিশ্চিত করে এএফসিকে জানাতে হবে দেশগুলোর। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তান ম্যাচটি কোথায় গিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

র‌্যাংকিংয়ে ভারত ১০১, বাংলাদেশ ১৮৪। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ফুটবলে ভারত কতটা শক্তিশালী। গত কয়েক বছরে ভারত ফুটবলে অনেক এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশ ততটাই পিছিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলে নতুন আলো দেখা গেছে। আর ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে থাকে সবর্দা উন্মাদনা। প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়টি এসেছিল ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। দু’দলের সর্বশেষ লড়াই হয়েছিল ২০১৪ সালে গোয়ায়। সে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারত অনেক এগিয়ে। ২৮ বারের সাক্ষাতে বাংলাদেশ জিতেছে দুই ম্যাচে, ভারত ১৫টিতে, ১১টি হয়েছে ড্র।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এবার ভারতের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়ায় বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা নতুন স্বপ্ন দেখছেন। র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও প্রতিবেশী দেশকে হারানো সম্ভব বলে মনে করছেন বোদ্ধারা। গ্রুপ ‘ই’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষরা হলো- আফগানিস্তান, ভারত, ওমান ও কাতার।

আপনি আরও পড়তে পারেন