দোহারের পদ্মার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

 মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:

দোহার উপজেলার প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে আসা পানির তোড়ে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে দোহার উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবযর পাওয়া গেছে। সরেজমিনে জানা যায়,গতকাল শুক্রবার প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে আসা পানির তোড়ে পদ্মা নদীর পানি তীরবর্তী প্রায় ২০টি গ্রামের প্রায় বিশ হাজার মানুষ কৃত্তিম বন্যার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার বিলাশপুর,মাঝিরচর,ফুলছড়ি,বিলাশপুরের হাজারবিঘা, মাহমুদপুর, হরিচন্ডি, চরমাহমুদপুর, চরকুশাইরচর ,শিলাকোটার দক্ষিনে ,নয়াবাড়ি, আন্তাবাহ্রা, ধোয়াইর, পূর্বধোয়াইর, বালেঙ্গা,সু› দরীপারা, নুরুল্লাহপুর, মৈনটঘাট, নারিশাজোয়ার, মধুরচর,রানীপুর,মেঘুলা,ধোপাবা ড়ি,নারিশা,মুকসুদপুরসহ প্রায় ২০টি নদীতীরবর্তি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।এসকল গ্রামের ফসলি জমি,বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানান নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা।এছাড়াও এই এলাকায় প্রায় হাজার ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পানিতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্লাবিত লোকজনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।গত বছর পদ্মানদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিলো।এবার আতংকে রয়েছেন অনেকেই। উপজেলা সুত্রে জানা যায়,এবার বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে তাদের রক্ষা করতে এবং বানভাসি মানুষদের বাচাঁতে দোহার উপজেলা পরিষদের এক জরুরী বৈঠক হয়েছে।গত বুধবার উপজেলা পরিষদের সদস্যরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের নিয়ে এক মতবিনিময় আলোচনা সভা করেছে।সভা শেষে উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষদের খোজঁ-খবর নিতে এবং বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে তাদের রক্ষা করতে নদীতীরবর্তী প্লাবিত গ্রামে পরিদর্শনে যান দোহার উপজেলা পরিষদের সদস্যরা। এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন জানান,নদীতীরবর্তী এলাকায় যেখানে পানির ¯্রােত বেশী সেসব এলাকায় জিও ব্যাগে বালি ভরে ফেলা হচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে।এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের তাদের কোষাগার থেকে চাউল বিতরন করতে বলা হয়েছে।দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষদের খোজঁ-খবর নেওয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন