বগুড়ার শেরপুরে ৪৪ গ্রামে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি

শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩৩০টি গ্রামের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের ৫২টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার ফলে আউশ ধান, শাক সবজি, রোপা আমন বীজতলা ও রোপা আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্যায় ১৭৮ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ, ৩৩ হেক্টর জমিতে শাকসবজি, ৩৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন বীজতলা ও ১ হাজার ২ শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ৩ হাজার ৫শ ৮৫ জন। যেসব গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে সেগুলো হলো- পৌরসভার ৬টি গ্রাম ঘোষপাড়া, নামা ঘোষপাড়া, পূর্বদত্ত পাড়া, উত্তর সাহা পাড়া, দক্ষিণ সাহা পাড়া, গোসাই। গাড়িদহ ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম-রামনগর, জুয়ানপুর, মহিপুর, বাংড়া, কানুপুর, ফুলবাড়ি, চকপাথালিয়া, রানিনগর। খামারকান্দি ইউনিয়নের ১৩ গ্রাম-মাগুড়ার তাইড়, খামারকান্দি, ঝাঁজর, খোকশাগাড়ি, বিলনোথার, পারভবানীপুর, নলডিঙ্গি, ঘোড়দৌড়, বোয়ালমারি, ভাতারিয়া, বেড়েরবাড়ি ও শুভগাছা, খানপুর ইউনিয়নের ২০ টি গ্রাম-চকখানপুর, দহখানপুর, খানপুর, গজারিয়া, বরিতলী,বোয়ালকান্দি, শৈল্লাপাড়া, তালপুকুরিয়া, পান্তাপাড়া, শালফা, শুবলী, শাফলজানি, চৌবাড়িয়া, নলবাড়িয়া, দড়িখাগা, গোপালপুর, ভাটরা, ভীমজানি, খাগা, ভান্ডার কাফুড়া। সুঘাট ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম-সুঘাট, ফুলজোড়, চোমর পাথালিয়া, চকনশি, বেলগাছি, চকধলী, চরকল্যাণী, বিনোদপুর, ম্যাচকান্দি, জোড়গাছা ও সুত্রাপুর। শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এগুলো হলো- চকখানপুর, চৌবাড়িয়া, বোয়ালকান্দি, ভস্তা, গজারিয়া, বরিতলী নতুনপাড়া, বরিতলী বালক, ঘোড়দৌড়, ঝাঁজর বিলনোথার ও সুবলী বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলেই সেই অনুযায়ী সরকারি সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন