বাসে নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যা : ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়াকে (২৫) গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় নয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আল মামুনের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন, স্বর্ণলতা পরিবহন বাসের চালক নূরুজ্জামান নূরু, চালকের সহযোগী লালন মিয়া, চালকের খালাতো ভাই বোরহান উদ্দিন, কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম ও খোকন মিয়া, টিকিট বিক্রেতা বকুল মিয়া ও আল আমিন, বাসমালিক মো. আল মামুন এবং স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি পারভেজ সরকার। এদের মধ্যে বোরহান ও আল-আমিন পলাতক রয়েছেন এবং বাকি সাত জন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুরগামী স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসে নিজ বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তানিয়া। পথে বাসটি বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে চলন্ত বাসে তাকে গণধর্ষণ করা হয়।  এরপর মাথায় আঘাত করলে রক্তক্ষরণ ও আঘাতের কারণে তানিয়া মারা গেছেন ভেবে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেন ধর্ষণকারীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনা দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে নাটক সাজিয়ে আসামিদের কয়েকজন মিলে তাকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষণিক কটিয়াদি মডেল থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরবর্তীতে ঘটনাটি যেহেতু কটিয়াদি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় এবং বাজিতপুর উপজেলায় তাই  নিহত তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বাসের চালক নূরুজ্জামান ও চালকের সহযোগী লালনসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে নূরুজ্জামান ও লালন তাদের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে দুজনই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তাদের সঙ্গে নূরুজ্জামানের খালাত ভাই বোরহানও সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেন। গণধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত বোরহান ও আল-আমিনকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন