ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে

রোজার ঈদের মতো এবারও ঈদ আনন্দে বাধা হতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জুলাই মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫.৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বৃষ্টি কম হয়েছে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে। গত ৩০ জুন বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়।

আর গত ১ জুলাই এটি একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। পরে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়। এর পর ২৬ জুলাই লঘুচাপটি মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে অন্তত ৩টি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপের শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ফলে পবিত্র ঈদের দিন বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এরই মধ্যে ভারতের উপকূলে সৃষ্ট নিম্নচাপটি মৌসুমি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে আসায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হয়ে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হবে। লঘুচাপ থাকাকালীন বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এটি মৌসুমি স্থল নিম্নচাপ। এ নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে আসায় দুর্বল হয়ে গেছে। তবে এটি লঘুচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। একদিকে বর্ষা ঋতুতে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকে, অন্যদিকে এ নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা বেশি। এ কারণে সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ভারতের ঝাড়খ-ের আশপাশের এলাকায় স্থল মৌসুমি নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য বলা হয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন