রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযদ্ধে’ নিহত নয়ন বন্ডের বাসায় চুরি সংগঠিত হয়েছে। তালা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণাঙ্কার ও প্রায় অর্ধললক্ষাধিক নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র নিয়েছে চোরেরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়নের মা সাহিদা বেগম জানান, তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সকালে প্রতিবেশীরা তালা ভাঙা দেখতে তাঁকে খবর দেন। খবর পেয়ে তিনি বাসায় এসে দড়জার তালা ভাঙা দেখতে পান। পরে ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলা দেখে বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণাঙ্কার খুঁজতে থাকেন। তিনি এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাহিদা বেগমের দাবি, নয়নের মিলাদের জন্য বাসায় তিনি ৪১ হাজার টাকা রেখেছিলেন। এছাড়াও দেড় ভরি ওজনের কানের ঝুমকা, ৮ আনা ওজনের কানের রিং, তিন ভরি ওজনের গলার হার, তিন ভরি ওজনের হাতের রুলি ও এক ভরি ওজনের মাথার টিকলী তার পুত্রবধূ বড় ছেলে মিরাজের স্ত্রী’র কক্ষে ১২ হাজার টাকা ছিল।
এছাড়াও তার বড় ছেলে মিরাজের স্ত্রীর কক্ষে রাখা ১৪ হাজার টাকা, নাতনীর গলার আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও পুত্রবধূ ও নাতনীর হাতের দেড় ভরি ওজনের তিনটি আংটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
সবকিছুই রাতের আঁধারে চোরেরা চুরি করে নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। নয়নের কিছু কাগজপত্র ও জমির দলিলপত্রও চুরি হয়েছে বলে তিনি পুলিশের কাছে দেয়া বিবরণে উল্লেখ করেন।
নয়ন বন্ডের বাসার পাশেরই অপর একটি বাসার ভাড়াটিয়া আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে নয়নের বাসার তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে নয়নের মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। পরে তিনি এসে বাসায় প্রবেশ করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার খুঁজে পাননি।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবির হোসেন মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, নয়নের মা চুরির খবরটি জানিয়েছেন। তার বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পর আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেব।
