ছাত্রদলের নির্বাচন ১৪ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নির্বাচন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হলে সবার আগে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে সাইয়েদ মামুন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মানবকণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি জানান, শনিবার (১৭ আগস্ট) ও রোববার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত  মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় ১৯ ও ২০ আগস্ট। যাচাই-বাছাই ২২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত।

খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৭ আগস্ট। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ২৮ আগস্ট, প্রার্থীদের আপিলের নিষ্পত্তি ২৯ ও ৩০ আগস্ট। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩১ আগস্ট। ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া প্রচারণার ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রদলের সাবেক ১ম যুগ্ম আহবায়ক এবিএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তখন ছাত্রদলের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করেন। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে টানা বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

আপনি আরও পড়তে পারেন