তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জানাজানি হওয়ায় ধর্ষণকারীর ‘আত্মহত্যা’

তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১১) অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত সন্দেহভাজন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। রংপুর নগরীতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সন্ধ্যায় ভূক্তভুগি শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।

এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নগরীর হাজিরহাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। শিশুটি নজিরেরহাট এলাকায় সেবরকারি সংস্থা ‘ল্যাপরোসি মিশনে’ চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে রংপুর জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানান, শিশুটির মা মুখ্য বিচারকি হাকিম আদালত-১-এ তাকে নিয়ে আসে। আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফেরদৌস মামলার বিবরণে জানান, শিশুটির মা সোনার বাংলা নার্সারি ও এগ্রোবাংলা লিমিটেডের কেয়ারটেকার তোফাজ্জল হোসেনের রান্নার কাজ করতেন। মায়ের কাজ করার সুবাদে শিশুটি সেখানে যাতায়াত করত। এরই মধ্যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর দেখা যায় সে ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণে আত্মহত্যাকারী তফাজ্জলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান এসআই ফেরদৌস।

ল্যাপরোসি মিশনে কর্মরত প্রমিলা হেমব্রম বলেন, বর্তমানে শিশুটি তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তার শারীরিক বিষয়ে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সোনারবাংলা নার্সাসি অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক জুয়েল বলেন, গত তিন বছর ধরে তোফাজ্জল নার্সারির সব বিষয় দেখাশুনা করে আসছেন। ১৬ অগাস্ট শুক্রবার খবর পাই তোফাজ্জল বিষ খেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

হাজিরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আত্মহত্যাকারী তফাজ্জলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন