ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর দায়িত্বহীনতায় জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কে জনদুর্ভোগ  চরমে

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর দায়িত্বহীনতায় জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ হচ্ছে না। ঠিকা অবহেলা সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সংস্কারহীন অবস্থায় রয়েছে। ৮ মাস আগে ওই সড়কের ঘোষগাঁও সেতুর মুখ থেকে স্থানীয় শিবগঞ্জ বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলেমিটার এলাকায় কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পুরো সড়ক ভেঙে কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও কাজ শেষ করছে না ঠিকাদার। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে।
 সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথপুর অটোরিকশা, অটোটেস্পু, লেগুনা শ্রমিক সমিতি ইতিপূর্বে সড়কে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করেছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্ত, ভাঙন, খানাখন্দ ও ভাঙাচোরার কারণে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বছর খানেক আগে এলজিইডি সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক ভেঙে এখন আর কাজ করছে না।
ঘোষগাঁও গ্রামের রমজান আলী ছানা বলেন, সংস্কারের নামে এলাকাবাসীর সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৮ মাস ধরে কাজ শুরু করা হলেও কাজ চলছে ধীর গতিতে। বর্তমানে সড়কের যে অবস্থা, এর চেয়ে পুরোনো সড়কই ভালো ছিল।
এলজিইডি একজন প্রকৌশলী জানান, জগন্নাথাপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের জগন্নাথপুর অংশের ১২ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। দরপত্র আহবান করা হলে কাজটি যৌথভাবে পান সুনামগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সোয়েব এবং লালা এন্টারপ্রাইজ।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার সোয়েব আহমদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
জগন্নাথপুর এলজিইডি’র প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার  বলেন, সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দিচ্ছি আমরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন