বগুড়ার শেরপুরে ইউএনও ও ওসি’র হস্তক্ষেপে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি নিয়ে বিরোধের অবসান

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুরের কদিম হাসড়া গ্রামে এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি নিয়ে বিরোধে ভাংচুর ও তালাবদ্ধ করার ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার দুপুরে থানা চত্বরে বসে ওসি’র মধ্যস্থতায় মিমাংসা করা হয়েছে। জানা যায়. উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের কদিম হাসড়া গ্রামে ১৯৮৫ সালে কদিম হাসড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা মঞ্জুরীপ্রাপ্ত হয়ে অদ্যবধি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ মাদ্রাসার পাঠদান ব্যাহত করতে সদর হাসড়া এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী হযরত আলী, মতিয়ার রহমান, মনিরুল ইসলাম, মোখলেছার রহমান ও রেজাউল করিমসহ ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মাদ্রাসায় ঢুকে ক্লাশ রুমসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়। এঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাও: মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওইদিনই শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শেরপুর থানার ওসিকে ঘটনাটি মিমাংসার জন্য অনুরোধ জানালে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিয়াকত আলী সেখ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. হুমায়ুন কবীরকে উদ্যোগ নিয়ে মিমাংসার কথা বলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার দুপুরে থানায় দু’পক্ষ বসে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট ঘটনার মিমাংসা করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাদ্রাস শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো: আব্দুল হাই বলেন, কদিম হাসড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি সংক্রান্ত একটা বিরোধ থাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তবে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিকতায় সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করে দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক পর্যায়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, মাদ্রাসার জমি নিয়ে যে বিরোধের সৃস্টি হয়েছিল তা দু’পক্ষকে ডেকে এনে মিমাংসা করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন