মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া বিএনপির দুই নেতা আনছার ও শহীদ এর সন্ধান পাওয়া গেছে।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিম তাদেরকে আটক করেছে বলে জানা গেছে ।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব- পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করে ৭ ই সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির দুই নেতা আনছার ও শহীদ নিখোঁজ হয়েছেন এই মর্মে আনছার মিয়ার ভাগ্নে মুহিত মিয়া কর্তৃক জগন্নাথপুর থানায় দায়েরকৃত জিডির সুত্র ধরে আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তচলাকালে ঢাকার ডিএমপি পুলিশ আমাদেরকে জানায়, নিখোঁজ থাকা জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদল নেতা জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লার ছেলে আনসার মিয়া ও একই ইউনিয়নের টিয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুস শহীদকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির সায়দাবাদ এলাকা থেকে গত ৫ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিমের পুলিশ পরির্দশক (নিরস্ত্র) শেখ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে। তাদের সঙ্গে বাক্ষ্রনবাড়িয়া জেলার সদরের পুনিয়াউট এলাকার মৃত আশরাফ মিয়ার ছেলে দুলন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তবে অভিযানকালে অপর আরো ২ থেকে তিনজন ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। আটককালে আব্দুস শহীদ এর নিকট থেকে তিনটি বিদেশি রিভলবার ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। বর্তমান তাঁরা ঢাকার যাত্রাবাড়ির ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ রা সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার সকালের দিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ঘোষগাঁও গ্রাম নিবাসী জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ আনছার মিয়া ও একই ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত টিয়ারগাঁও নিবাসী জগন্নাথপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল এর সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুস শহীদ এক সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে নবীগঞ্জের উদ্যেশ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন । ৪ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা আনসার মিয়ার ভাগ্নে মুহিত মিয়া জগন্নাথপুর থানায় জিডি দায়ের করেছেন(জিডি নং ১৯৭)।
