বেশ কিছু দিনের তীব্র দ্বন্দ্বের পর শেষ পর্যন্ত গতকাল শনিবার মধ্যরাতে সমঝোতায় পৌঁছেছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ দুই নেতা জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ। আজ রোববার সকালে দলের বনানী কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এ তথ্য জানান।
এ সময় রাঙ্গা বলেন, ‘জিএম কাদেরই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকছেন, রওশন এরশাদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা।’ তবে রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
দলের মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই সমস্যার সাথে যারা জড়িত তারা আমাদের এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য। আমরা কাল বৈঠক করেছি এবং দলকে বড় একটা ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করেছি।’
দলের বিরোধ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোন পক্ষের না, জাতীয় পার্টির। তাই সমাধানের চেষ্টা করেছি। এখন থেকে আর এ ধরনের বড় সমস্যার সৃষ্টি হবে না।’
নেতাকর্মীদের আরও সহনশীল হতে হবে জানিয়ে রাঙ্গা বলেন, দল ভেঙ্গে গেলে দেশের মানুষ বিএনপির মতোই জাতীয় পার্টিকে ভুলে যেত।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে রওশন ও জিএম কাদেরের পক্ষের নেতারা দীর্ঘ বৈঠক শেষে সমঝোতায় উপনীত হন। বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় আবারেও বিরোধী নেতা হচ্ছেন জাপার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদ। আর আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদের। কাউন্সিলে দলের নেতৃত্ব ঠিক হবে।
ওই বৈঠকে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা উভয়পক্ষে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।
বৈঠকে রওশন পন্থীনেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম ও এস এম ফয়সল চিশতী। আর জিএম কাদেরপন্থী নেতাদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়্যদ আবু হোসেন বাবলা ও লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী।