কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ও ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে ২৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ ও ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দিন দিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কারাগারে প্রেরণ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।
খালেদা জিয়া আর্থরাইটিসে ভুগছেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ রোগের সঠিক চিকিৎসা না হলে চিরস্থায়ী পঙ্গুতের স্বীকার হতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত পাঁচ মাস ধরে তিনি (খালেদা) বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল ওই হাসপাতালের ভিসিসহ মেডিকেল বোর্ড বলেছে, তিনি এখন সুস্থ আছেন। তাদের এ বক্তব্য তাকে পুনরায় কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে এসে বলেছেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। একা চলতে পারেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। তাকে তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য দাবি করছি। অন্যথায় তার শারীরিক যেকোনো অবনতির জন্য বর্তমান অবৈধ সরকার দায়ী।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।