নুসরাত হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুরু বুধবার

ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোমবার মামলার বাদি নুসরাতের বড় মাহমুদুল হাসান নোমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলমকে পুনরায় জেরা করেন আসামি পক্ষের আইজীবীরা।

এরমধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। জেরা শেষে ১৬ জন আসামি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আসামিরা আদালতে কোনো সাফাই সাক্ষী দেয়নি। সব আসামি লিখিত সাক্ষি দিয়েছে। যার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ করেন।

শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ এই মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদদৌলাকে ৩৪২ ধারায় অপরাধ স্বীকার করবে কি করবে না জানতে চাইলে সিরাজ উদদৌলা তখন আদালতকে বলেন, নুসরাত জাহান রাফি আমার মেয়ের মতো, আমি নির্দোষ। আমি নুসরাত হত্যার বিচার চাই। তবে আমাদেরকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপিসহ ১১ জন আসামি পিবিআইয়ের নির্যাতনের কারণে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী শাহ জাহান সাজু বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। এরপর রায়ের দিন নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও বাবা মাওলানা একেএম মুসা ও নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হানসহ ৯২ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। এ মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৯ মে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম।

আপনি আরও পড়তে পারেন