বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আসন্ন কাউন্সিলে আদালতের স্থগিতাদেশকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে এর পেছনে সরকারের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ) ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে বিএনপি এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, আমান উল্লাহর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালতের স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ ছাত্রদলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রতিযোগী ছিলেন না এবং প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেননি কিংবা তিনি কাউন্সিলরও নন।
কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া তাঁর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেওয়া গভীর চক্রান্তমূলক বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সরকারের কারসাজিতেই এমন আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী ।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলরদের মধ্যে যে উৎসাহ ও সৃষ্টি হয়েছিল তা বানচাল করার জন্যই এই আদেশ সরকারের কৌশলের অংশ।
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের আগের কমিটিতে ধর্ম বিষয়ক সহসম্পাদক আমান উল্লাহ ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে বৃহস্পতিবার মামলা করেন। শুনানি নিয়ে আদালত ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। একই সঙ্গে ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। বিএনপির মহাসচিবসহ ১০ জন বিএনপি নেতাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।