কোহলির খাতায় পাঁচ ডাবল শূন্য

নি:সন্দেহে টেস্টের বড় একজন ব্যাটসম্যান তিনি। তারপরও সব দিন তো সমান যায় না। বিরাট কোহলিরও তেমটাই হয়েছে। ক্যারিয়ারে যেমন ব্যাট উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন। বিপরীতে অনেকবার ডাকও মেরেছেন। এখন পর্যন্ত ৮৩টি টেস্টে অংশ নিয়ে পাঁচবার ডাবল জিরো পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ মোট ডাক মেরেছেন দশ ম্যাচে। তাছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে সব সংস্করণ মিলিয়ে এই প্রথম শূন্যতে আউট হন কোহলি।

চারে ব্যাট হাতে নামেন কোহলি। প্রথম বলটা কোনোমতে আটকান তিনি। কিন্তু পরের বলে এলবি। ভারতীয় ক্যাপ্টেনকে পুরোপুরি পরাস্ত করেন আবু জায়েদ রাহি। দারুণ পেসে এলবির ফাঁদে ফেলেন তাকে। যদিও বাংলাদেশ দলের আবেদনে শুরুতে সাড়া দেয়নি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। তাতেই মিলল বড় এই সাফল্য।

প্রথম দিন রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুভসূচনা এনে দিয়েছিলেন এই রাহী। আজও (১৫ নভেম্বর) তার হাত ধরে এলো দিনের প্রথম উইকেট। ৫৪ রান করা পূজারাকে মেহেদী হাসান মিরাজের বদলি হয়ে নামা সাইফ হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই টাইগার পেসার।

এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হলকার স্টেডিয়ামে ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের প্রথম ইনিংস। আর ১ উইকেটে ৮৬ রানে দিন শেষ করেছিল ভারত। এ দিন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়েই যায় বাংলাদেশ। এক মুশফিকুর রহিম ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। তাতে অল্পতেই অলআউট হয় অতিথিরা।

কাগজে-কলমে বাংলাদেশ থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত। আর ম্যাচটা যখন ভারতের ঘরের মাঠে তখন তো আরও ভয়। অতীত পরিসংখ্যানই তেমন কথা বলছে। নিজেদের মাঠে ২০১৩ সালের পর ৩২ টেস্ট খেলে ২৬টিতেই জিতেছে ভারত। যার মধ্যে আবার ৫টা ড্র আর একটা মাত্র হার। তাছাড়া টেস্টে ভারতের বিপক্ষে আগে ৯টি ম্যাচে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ৭টি হেরেছে আর বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র।

হলকার স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট আরেকটা কারণে একটু বেশিই স্পেশাল। কেননা এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হলো টাইগারদের। সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেন হিসেবে মুমিনুলও প্রবেশ করলেন টেস্টের এই নতুন অধ্যায়ে।

আপনি আরও পড়তে পারেন