নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে কংগ্রেসে বসছে যুবলীগ

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস আজ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কংগ্রেসের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে সভাপতিত্ব করবেন যুবলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি চয়ন ইসলাম।

বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সেখানেই যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।

প্রায় সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হবে কংগ্রেস। যুবলীগের কংগ্রেসকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। যুবলীগের পরবর্তী চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। ইতোমধ্যে কংগ্রেস ভেন্যু ও তার আশপাশের এলাকা যুবলীগ নেতাদের ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে।

কংগ্রেসে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসেছেন ২২শ কাউন্সিলর।

যুবলীগের শীর্ষ পদে নাম শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজনের। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশের নাম বেশ জোরে-শোরেই আলোচনা হচ্ছে। শীর্ষ দুটি পদে আসীন হতে আলোচনায় আছেন যুবলীগের বর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান আতা, বেলাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুসহ বেশ কয়েকজন।

এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বাহাদুর ব্যাপারীসহ কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নামও আছে নেতা-কর্মীদের গুঞ্জনে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। যার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি।

সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। তারপর ছয় বছর নির্বিঘ্নে কাজ করে এলেও সম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক। সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল হয় যুবলীগ। যুবলীগ নেতাদের অধঃপতনে বিব্রত আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন