কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরেই যাবে বিদ্যুৎ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি বাড়ি ও হাট-বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরেই যাবে বিদ্যুৎ, জ্বলবে আলো।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সোলার প্যানেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ৪টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে গবেষণা প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি গাজীপুরের ডাটা সেন্টার ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) নতুন ৫টি জাহাজের প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাপ্তাইয়ে একটা গবেষণার জন্য ভাসমান প্রতিষ্ঠান হিসেবেই এ জাহাজটা নির্মাণ করা হয়েছে। যারা আমাদের বিজ্ঞানী মৎস্য নিয়ে গবেষণা করেন তারা সেখানে যেতে পারবেন। ফলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। আর এটা বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নত হবে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সেখানে মাছ প্রক্রিয়াজাত করায়ও আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি সরকার। আমরা এসে সেখানে মোবাইল চালু করে দিই। এবং ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য যেহেতু গ্রিড লাইন করা সম্ভব না, যেহেতু যথেষ্ঠ দুর্গম অঞ্চল, তাই আমরা সেখানে ব্যাপক সোলার প্যানেল দেওয়া শুরু করি। হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, রাস্তা-ঘাট তৈরি করা, পুল-ব্রিজ তৈরি করাসহ ব্যাপক হারে উন্নয়নের কাজ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ওই অঞ্চলের মানুষ খুব দরিদ্র ছিল। আমরা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আর সেই কর্মসূচির আওতায়ই পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে আমরা আলো জ্বালবো এটাই আমাদের লক্ষ। কোনও ঘর যেন অন্ধকার না থাকে। এর জন্য সেখানে আমরা সোলার প্যানেল প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছি। এর জন্য আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। এই কর্মসূচির আওতায়ই আজকে আমরা পার্বত্য অঞ্চলে আমরা এ সোলার প্যানেল স্থাপনে এই কর্মসূচিটি উদ্বোধন করছি।

তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রত্যেকটা বাড়ি, কোনও বাড়ি বা কোনও বাজার বা কোথায় অন্ধকার থাকবে না। এতটুকু আমরা কথা দিতে পারছি। আমরা সেভাবে প্রকল্প নিয়েছি এবই সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করবো।

এদিকে বুধবার (২৭ নভেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) নতুন পাঁচটি সমুদ্রগামী জাহাজ চীনের কাছ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিএসসির জন্য সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ৬টি জাহাজ সংগ্রহে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারে সহায়তা ১ হাজার ৫২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বিএসসির নিজস্ব অর্থ ১০৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

প্রতিটি জাহাজের ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার ডিডব্লিউটি (ডেড ওয়েট টন)। জাহাজগুলোর মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার (তেলবাহী) এবং তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার (পণ্যবাহী)।

ছয়টি জাহাজের মধ্যে প্রথমটি ‘এমভি বাংলার জয়যাত্রা’ ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। আজ (২৮ নভেম্বর) দু’টি বাল্ক ক্যারিয়ার ও তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার উদ্বোধন করা হলো।

জাহাজগুলো হলো-এম.ভি বাংলার সমৃদ্ধি, এম.ভি বাংলার অর্জন, এম.টি বাংলার অগ্রযাত্রা, এম.টি বাংলার অগ্রদূত এবং এম.টি বাংলার অগ্রগতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন