গোপালগঞ্জে ইউপি আ. লীগ সভাপতির বাড়িতে রিলিফের টিন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: অংকন তালুকদার ।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ফুকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শের আলী মোল্লার বসত ঘরে ৩২ খানা সরকারি রিলিফের ঢেউ টিন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা, কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফুকরা গ্রামে হত দরিদ্রর জন্য আদর্শ গ্রামের ঘর নির্মাণের পর বেঁচে যাওয়া ৩২ খানা ঢেউ টিন ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আতসাৎ করার জন্য তার বাড়িতে নিয়ে রাখেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ফুকরা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি শের আলী মোল্লার দক্ষিণ ফুকরার উত্তরপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী মোসাম্মৎ হামিদা সুলতানাকে টিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তাদের বাড়িতে সরকারি টিন রয়েছে বলে স্বীকার করেন। বাড়ির সামনের দক্ষিন পাতার ওয়ালসেড টিনের ঘরে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে গিয়ে ত্রানের টিন দেখিয়ে দেন। টিনের গায়ে লেখা রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ত্রান সামগ্রী, বিক্রয়ের জন্য নহে। ফুকরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিকদার কাইউম হোসেন বলেন, উপজলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ফোন পেয়ে শুক্রবার বিকালে শের আলী মোল্লার বাড়িতে আমি ছুটে যাই। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে টিন গুলা গননা করে ৩২ খানা ঢেউ টিন পাই। সাথে সাথে বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানাই। টিনগুলা সরকারি ত্রানের টিন বলে ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন। তবে কিভাবে এ টিন ওই নেতার বাড়িতে আসলো তা তিনি জানাতে পারেন নি। ফুকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শের আলী মোল্লা বলেন, আমার শ্যালক মিরাজ খান জাহাজে চাকরি করেন। তার জায়গা আছে, কিন্তু ঘর নাই। তাকে আমি তদবির করে দু’ দফা রিলিফের টিন ও ১২ হাজার টাকা পাইয়ে দিয়েছি। তারা রিলিফের টিন এনে আমার ঘরে রেখেছে। এ টিন আদর্শ গ্রামের প্রকল্প থেকে বেঁচে যাওয়া টিন নয়। এলাকায় আমার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা টিন আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতার শ্যালককে ২০১৬-১৭ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছর দু’ দফা রিলিফর টিন ও নগদ ১২ হাজার টাকা আমাদের অফিস থেকে দেয়া হয়েছে। প্রথম অর্থ বছর মিরাজ খানের পক্ষে এক ব্যক্তি টিন ও টাকা উত্তোলন করেন। পরের অর্থ বছর মিরাজ খান স্বাক্ষর করে টিন, টাকা উত্তালন করে নিয়ে যান। ওই আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে রক্ষিত টিন আমাদের বিতরন করা টিন কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন