সরকার আমাদের কঠিন আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘যদি আগামী ৫ তারিখে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হয় তাহলে বোঝা যাবে আইনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। সরকার আমাদের কঠিন আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তখন আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকবে না।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাবের) উদ্যোগে ‘স্বৈরাচার পতনে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ ডাক্তার মিলনের আত্মত্যাগ ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‘এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করা আমাদের সাংবিধানিক ও নৈতিক অধিকার। এর আগেও অনেক আন্দোলন করে প্রমাণ করেছি যে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই- এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চাই। আর সরকার যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে তাহলে সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারের।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যে বাংলাদেশের জন্য নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডাক্তার মিলনসহ অনেকেই শহীদ হয়েছে। যে আশায় স্বৈরাচার পতন হয়েছিল সেই আশা কি পূরণ হয়েছে? এরশাদ তো শুধু স্বৈরাচার সরকার ছিল কিন্তু বর্তমান সরকার স্বৈরাচারকে কাটিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের রূপান্তরিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বৈরাচারী পথ অবলম্বন করেছে ।এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে নিজে নিজেই ক্ষমতায় থাকছে। ২০১৯ সালে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। সরকার খুব ভালো করেই জানে বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। এবং তার প্রাপ্য জামিন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তা থেকে বঞ্চিত করেছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে উচ্চ আদালত তার স্বাস্থ্যের সার্টিফিকেট চেয়েছে। আমি আশা করব যারা বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন তারা নৈতিক দিক থেকে সঠিক রিপোর্টে পেশ করবেন। আর যদি না করেন তাহলে ভাবব দেশের মে‌ডি‌কেল বিশ্ব‌বিদ্যালয় চি‌কিৎসার নৈতিকতা ধরে রাখতে পারছে না। মানুষ তা‌দের আর বিশ্বাস কর‌বে না।’

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-আল-রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, মহাসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন