‘আদালতের নির্দেশনা মেনে চললে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে’

আদালতের নির্দেশনা মেনে চললে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা’ চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় বাসের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের সুমন ও পলাতক হেলপার কাজী আসাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত রায় ঘোষণার পর রোববার (০১ ডিসেম্বর) সিলেটে সময় সংবাদকে নিজের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানান তিনি।

যে রায় হয়েছে আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলবো সুন্দর রায় হয়েছে। আরো কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য এটা একটা বড় ব্যাপার। এ রায় মেনে নেবে সবাই এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে যা এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেউ যেন না করে।

বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে জাবালে নূরে বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও আরেক হেলপার এনায়েত হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এদিকে, রুট পারমিট ও গাড়ির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও ভিন্ন নামে ঢাকার রাস্তায় চলছে জাবালে নূর পরিবহনের বাস।

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজীব।

দুর্ঘটনার পরপরই সহপাঠীদের মৃত্যুর বিচার চেয়ে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। সে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। এক পর্যায়ে তা হয়ে দাঁড়ায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর আন্দোলন। সে আন্দোলনে সমর্থন দেন সর্বস্তরের মানুষ।

দুর্ঘটনায় নিহত মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে রয়েছে। আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছে। পলাতক আছেন সহকারী কাজী আসাদ।

আপনি আরও পড়তে পারেন