রাজশাহীতে খেজুরের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছীরা

শীত মৌসুমের শুরুতে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর গাছীরা। এই মৌসুমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সাথে যুক্ত ওই এলাকার বিশ হাজারের বেশি মানুষ। উৎপাদিত গুড় ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছানো হয়।

আবহমান গ্রাম বাংলায় শীতের সকালের সূর্য্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই গাছীরা বেরিয়ে পড়ছেন খেজুরের রস সংগ্রহে। এরপর সংগৃহীত রস জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। সুস্বাদু পাটালি ও লালি গুড় বিক্রি করে চাঙ্গা এখন গ্রামীন অর্থনীতির চাকা। শীতের এই মৌসুমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সাথে জড়িয়ে পড়ে এই এলাকার বিশ হাজারের বেশি মানুষ। ঋতুর পালাবদলে রাজশাহীর পুঠিয়া, দূর্গাপুর, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় এমন দৃশ্য এখন দৃশ্যমান।

এদিকে, ভাল দাম পেতে গাছীরা উৎপাদিত গুড়ে আর্কষণীয় করে তুলতে রঙ, হাইড্রোজ, চিনি ও ফিটকিরি মেশানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাষীরা বলেন, ফিটকিরি আর চিনি মেশালে দামটা ভালো পাওয়া যায়। কারণ এটা দিলে পাটালির রঙটা চকচকে হয়। চকচকে না হলে দামটা কমই হয় বলে জানান  বিক্রেতা।

হাটের দিন স্থানীয় মোকামে এসব গুড় পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন গাছীরা। এরপর ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় উৎপাদিত এসব অঞ্চলের গুড় ও পাটালি।

জেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহীতে খেজুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এসব গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ৮ হাজার মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন