দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে

যশোরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনগুলোতে এ জেলায় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

যশোরের স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সকালে যশোরে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিন ফরিদপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছিল। শুক্রবারও যশোরে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, যশোরসহ রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যার কারণে এসব অঞ্চলে তীব্র শীত পড়ছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসলে তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

যশোরে শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। শেষ রাতে ঘন কুয়াশা পড়ছে। বেলা বাড়লে হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও মেঘের আড়াল থেকে মাঝে মাঝে সূর্য উঁকি দিলেও তাপ ছড়াচ্ছে না। ঠান্ডার দাপটের কাছে যেন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে সূর্যটাও!

তীব্র শীতের কারণে কৃষকরা বোরের বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। ঠান্ডা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে বীজতলা ‘কোল্ড স্ট্রোকে’ বিনষ্টের দুশ্চিন্তা করছেন তারা। যারা আলু ও সরিষার আবাদ করেছেন তারাও ঠান্ডা ও কুয়াশায় চারা নষ্টের আশঙ্কা করছেন।

এদিকে শহরের চাইতে গ্রামের দিকে শীতের তীব্রতা তুলনায় বেশি। গ্রাম এলাকায় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশাও পরিমাণ বেশি পড়ছে। সঙ্গত কারণে তাপমাত্রাও গ্রামের দিকে অনেক নিচের দিকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন