ফেনীতে চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে চাষি ও মৌসুমি ধান কাটার শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত চারপাশ। ফুটে ওঠেছে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি।
কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮৫ হাজার ১শ ৪৩ মেট্টিক টন চাউল। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৮১ হেক্টর জমি। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩৭, উফশী ৬১ হাজার ৪শ ৩৪ ও স্থানীয় ৬ হাজার ৬শ ১০ হেক্টর রয়েছে। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪শ ৪৬ হেক্টর। হাইব্রিড ৭, উফশী ৫৯ হাজার ৯শ ৩৭ ও স্থানীয় ৬ হাজার ৫শ ২। কর্তন হয়েছে ৯১ শতাংশ।
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের আমনের চারা রোপণ করা হয়েছিল। কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের আমনের চাষও হয়েছে। সব ধরনের জাতেরই এ বছর ফলন ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানে ভরা ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও শ্রমিকেরা। উঠোনে উঠোনে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। আবার চরাঞ্চলের অনেক কৃষক মাঠের পাশেই ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত।
চর খোন্দকারের চাষী ভোলা মিয়া জানান, ঘরে ঘরে ধান উঠছে, ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই। আমরা সবাই অনেক আনন্দিত। আশা করি সরকার ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় করে কৃষকের এ আনন্দ ধরে রাখবেন।
সোনাগাজীর চরাঞ্চলের বাদামতলী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে কৃষক লাভবান হবো বলে।
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার সর্বত্রই ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। আশা করি আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমন কাটা শেষ হবে।