ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন ঢাবি ছাত্রী

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ফটোগ্রাফ দেখানো হলে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষককে শনাক্ত করেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে র‍্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার আসামির না মো. মজনু। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকেই ধষর্ক পলাতক ছিল। গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে টঙ্গী থেকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাকে র‍্যাবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ধর্ষক কুর্মিটোলা এলাকাতেই দিনের বেশিরভাগ সময় অলস সময় কাটাতেন। সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন ব্যক্তির আসা-যাওয়া লক্ষ‌্য করতেন। সে মাদকাসক্ত। ঘটনার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ‌্যে গলা চেপে ধরে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এর আগে অপর একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়, প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে ধষর্ককে আটক করা হয়। পরে তার ছবি তুলে ওই শিক্ষার্থীকে দেখানো হয়। কারণ ভুক্তভোগী মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন ধষর্ককে দেখলে তিনি চিনতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাবির বাস থেকে নামার পর দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে তার ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজি যোগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছান। পরে রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারেভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

ধর্ষণের ঘটনায় রোববার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা। সোমবার দুপুরে ওই আবেদনটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ডিবি মামলাটির তদন্ত করছে।

ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা চলছে বলেও জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন