বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে নজরদারিতে সামাজিকমাধ্যম

তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সামাজিকমাধ্যমে গুজব ছড়ানো এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। যে কারণে বড় ধরনের ঘটনা এড়াতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইজতেমা উপলক্ষ্যে স্থল, জল ও আকাশপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমা ময়দানকে দুটি সেক্টরে ভাগ করে কার-মোটারসাইকেল-বোট পেট্রলিংয়ের পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে। ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোশাকধারী র‍্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। দুই পক্ষের দ্বন্দের জেরে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও সতর্ক থাকবেন র‍্যাব সদস্যরা।

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘ইজতেমায় ২৭টি দেশের বিদেশি নাগরিকসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হবে। আমরা ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারীর কাজ শুরু করেছি। দুই ধাপে ইজতেমার ময়দানে তিন দিন করে আমাদের ডেপ্লয়মেন্ট থাকবে। গাড়ি-বাইক পেট্রলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদীতে স্পিডবোটের মাধ্যমে বোট পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া আকাশপথে দুটি হেলিকপ্টারের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখা হবে।’

তিনি জানান, ‘র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সুইপিং টিম এবং ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যে কোনও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের ফোর্স সবসময় প্রস্তুত থাকবে। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বক্ষণিক তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কোথাও ঝুঁকি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ইজতেমার দুই পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রেখে ইজতেমা যাতে শেষ হয় সেব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।’

এর আগে র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ইজতেমার ময়দানে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘১০-১২ এবং ১৭-১৯ তারিখ পর্যন্ত দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রাক গোয়েন্দা নজরদারী, ইজতেমার সময় ফুল ডেপ্লয়মেন্ট এবং শেষেও মুসল্লিরা স্থান ত্যাগ পর্যন্ত আমাদের কভার্ড অ্যান্ড ওভার্ড ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পুরো ইজতেমা ময়দান সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং এবং রেকর্ডিং করা হবে। ইজতেমার বাইরের সড়কে আটটি পোস্ট স্থাপন করে ইজতেমায় আগত মুসল্লি এবং যানবাহন তল্লাশি করা হবে।’

মুসল্লিদের সুবিধার্থে মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত দুটি বাস সার্ভিস থাকবে র‍্যাবের। ইজতেমা মাঠে দুই জন চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে। ইজতেমার মাঠে ২০টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন