দায়সারা সংস্কার, দেড় কোটি টাকার সড়কে ফের ফাটল

যশোরের মণিরামপুরের টেংরামারী-জালালপুর গ্রামীণ সড়কটি পাকাকরণের নয়মাসের মাথায় ফের ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর এ সড়কটি নিয়ে ‘পাকাকরণের কয়েক মাসেই রাস্তায় ফাটল!’ শিরোনামে পূর্বপশ্চিমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রিপোর্ট প্রকাশের কয়েকদিন পর ফাটা স্থানগুলোর কিছুস্থান পিচ ও পাথর দিয়ে সংস্কার করেন ঠিকাদাররা। এর কিছুদিন পরেই সংস্কার হওয়া স্থানেই ফের ফাটল দেখা দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়সারাভাবে সংস্কার করায় রাস্তা আবার ফাটল ধরেছে। শুধু সংস্কারের স্থানে নয়, ওই সড়কের কয়েক স্থানের পিচে নতুন করে ফাটল ধরেছে। রাস্তটি অনেক সরু ছিল। নতুন মাটি ফেলে রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। কিন্তু মাটি ঠিকমত না রোলিং করে রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হয়। তাছাড়া খুবই নিন্মমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে এই রাস্তায়।

এক কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ পায় বিশ্বজিৎ কন্সট্রাকশন। ২০১৮ সালের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়। কাজের শুরুতে নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। পরে এলাকাবাসীর বাধারমুখে কাজ বন্ধ করে দেন তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান। খারাপ ইট সরিয়ে ভাল ইট দিয়ে কাজ করার জন্য ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দাসকে চিঠি দেন তিনি। তখন নামমাত্র কয়েক টলি ইটের খোয়া সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর দুই-তিন মাস বিরতি দিয়ে আবার কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। ২০১৯ সালের মার্চে সড়কটি পাকাকরণের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার কয়েকমাসেই সামছুদ্দিনের বাড়ির সামনে থেকে রিফিউজি পাড়া পর্যন্ত রাস্তার কয়েকস্থানে পিচে ফাটল ধরে। এ বিষয়ে ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, জালালপুরে একটা রাস্তায় কাজ চলছে। সেই রাস্তায় ব্যবহৃত পাথর এই রাস্তা দিয়ে ট্রাকে করে নেওয়া হয়েছে। ট্রাকের ভার সইতে না পেরে রাস্তা ফেটে গেছে। ফাটলস্থানগুলোতে পিচ ও পাথর দেওয়া হয়েছে। এখন আবার ফাটল ধরলে তাও সংস্কার করা হবে।

এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম পূর্বপশ্চিমকে বলেন, রাস্তায় ফাটলের ব্যাপারে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তার জামানত অফিসে জমা আছে। জামানত উঠানোর আগে তিনি সংস্কার করে দেবেন।

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন