পূজার জন্য ভোট পেছানো উচিত: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরস্বতী পূজার কারণে ভোট অবশ্যই পেছানো উচিত। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে ষষ্ঠ দিনের মতো নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নির্বাচন পেছানোর একটা দাবি আসছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। আমাদের ঈদের দিন যদি ভোট গ্রহণ হত তাহলে আমরা মুসলমানরাও ভোট পেছানোর দাবি জানাতাম। আমি মনে করি, পূজার কথা বিবেচনা করে অবশ্যই ভোট পেছানো উচিত।

এসময় মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপি মনোনীত ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী ইশরাক।

ঢাকা সিটি নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি ছিল হিন্দু ধর্মালম্বীদের। এ নিয়ে আদালতে রিটও হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার তা খারিজ করে দেয়ায় নির্ধারিত তারিখেই হচ্ছে দুই সিটির ভোট। আদালত রিট খারিজ করে দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট এবং পূজা একসঙ্গে হবে। তবে এই ঘোষণার পর থেকে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ভোটের তারিখ না পেছালে লাগাতার আন্দোলনেরও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ইশরাক বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যত পদক্ষেপ নেয়া দরকার প্রথমেই তা নেব।

প্রচারণার ষষ্টদিনে নির্বাচনী মাঠে অনিয়ম খুজেঁ বের করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাসের দেখা পেয়েছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশরাক বলেন, আমি একবারও তাদের সঙ্গে দেখা করিনি। তবে আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে তাদের কাছে প্রতিনিয়ত অভিযোগ যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে আমরা খুব একটা কিছু আশাও করি না। এখন পর্যন্ত আমি তাদেরকে মাঠেও দেখিনি।

ইশরাকের প্রচারে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদল নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইশরাকের ছোট ভাই ইশফাক হোসেন প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন