লঞ্চের কেবিনে এক কিশোরীকে (১৭) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে সালাউদ্দিন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটক করে।
সালাউদ্দিন চাঁদপুর পৌরসভার উত্তর জিটি রোডের সিদ্দিক আলীর ছেলে। সে ফতুল্লার আমতলা প্রেম রোড এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ব্যবসা করতো।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকার একটি হোসিয়ারিতে কাজ করে সে। সেখানে সালাউদ্দিনের সাথে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথাও হয় সালাউদ্দিনের সাথে।
ওই কিশোরী আরও জানায়, গত ১১ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি বাসস্ট্যান্ডে তাকে আসতে বলে সালাউদ্দিন। এরপর সেখান থেকে কৌশলে তাকে অপহরণ করে ঢাকার সদরঘাট এলাকায় নিয়ে যায়। কিশোরী লঞ্চে উঠতে গড়িমসি করে। প্রেমিক আশ্বাস দেয় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করবে। এরপর চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে চাঁদপুর থেকে ফিরে আসার পথেও সালাউদ্দিন তাকে পুনরায় যৌন নির্যাতন করে। পরে বিকালে তাকে সাইনবোর্ড এলাকায় রেখে সালাউদ্দিন তার নিজ বাসায় চলে যায়। ঘটনার পর একাধিকবার সালাউদ্দিনকে ফোন করা হলেও সে তার মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, ওই কিশোরী মঙ্গলবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তকে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
