ইশরাকের প্রচারের সময় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে দুই পক্ষে একে অপরের দিকে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করে। লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। হামলার মধ্যে গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে। দুই পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই হামলায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আধঘণ্টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ রোববার রাজধানীর টিকাটুলি মোড় থেকে ইশরাক হোসেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের গলিতে প্রবেশের সময় কলেজের মূল ফটকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী রোকনউদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের সঙ্গে ইশরাকের কর্মী সমর্থকদের বাগ বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই একে ওপরকে উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এর মধ্যে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা গেছে। বেলা ১২.৫০ মিনিটের দিকে শুরু হয়ে ১.২৫ মিনিট পর্যন্ত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বলছেন, ইশরাকের মিছিল থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থকেরা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম। আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর এখানে কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে হামলা করা হয়েছে।
আমি আমার কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।ন ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের মাধ্যমে আমরা এর জবাব দেব। পরে তিনি সংবাত সম্মেলনে বলেন, এই হামলার উদ্দেশ্য বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করা, নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে থাকবে। এই হামলার ব্যাপারে মামলা করা হবে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইশরাক হোসেন যে এ সময় প্রচারণা চালাবেন তা পুলিশকে জানানো হয়নি। আগে জানতে পারলে তারা নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারতেন।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন