নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করাও আচরণবিধি লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী

উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়া নির্বাচনের এক প্রকার আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যেকোনও নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করাও তো আচরণবিধি লঙ্ঘন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিএনপি হাইকোর্টে গিয়েছিল। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেননি। সর্বোচ্চ আদালতে তাদের আবেদন রিজেক্ট করে দেন। যেখানে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেননি, আবার সেই একই নালিশ বিদেশিদের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করা তো আদালত অবমাননার শামিল এবং যেকোনও নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করাও তো আচরণবিধি লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, বিএনপির কোনও অভিযোগ থাকলে তা ভোটার ও জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করায় অনেকেই মনে করেন, এটিও এক ধরনের আদালত অবমাননার শামিল।

ইসিতেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনারের পদটি সাংবিধানিক পদ। যেমন হাইকোর্টের বিচারপতির পদ সাংবিধানিক পদ। হাইকোর্টের কোনো বিচারপতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কখনো জনসম্মুখে উপস্থাপন করেন না।

তিনি বলেন, সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমীচীনও নয়। এটি একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্ম পরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলা বাঞ্ছনীয়। সেটি জনসম্মুখে বিশেষ করে গণমাধ্যমের সামনে বলা, সাংবিধানিক পদধারী হিসেবে তিনি যে শপথ নিয়েছেন সেই শপথের বরখেলাপ কিনা সেটা দেখার বিষয়।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার কাভারেজ দেওয়া হলেও বিএনপির প্রার্থীর কোনো প্রচার-প্রচারণার খবর আসে না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এসব সংস্থার সবগুলোই স্বাধীনভাবে কাজ করে। এগুলো মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় না। মন্ত্রণালয় শুধু দেখভাল করে। সেখানে যদি তারা (বিএনপি) প্রচারণার বিষয়গুলো উপস্থাপন করে নিশ্চয়ই সেই সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে।

পুরান ঢাকার গোপীবাগে সংঘর্ষের ঘটনায় কে প্রথম হামলা করেছে সেটা তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নেবে। এটা সরকারের বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন