ইবির বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে রেফারিকে মারধর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ফাইনাল খেলায় রেফারিকে ধাওয়া দিয়ে খেলোয়াড়রা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় ইংরেজী বিভাগের খেলোয়াড়রা রেফারির উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের ফুটবল মাঠে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শুরু হয়। খেলায় ইংরেজি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ অংশ নেয়। ম্যাচের এক পর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ পেলান্টি পায়। এই সিদ্ধান্ত না মেনে রেফারির উপর চড়াও হয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্তে রেফারি পরিবর্তন করে খেলা শুরু হয়। পরে প্লান্টিতে গোল দেয় ইতিহাস বিভাগ। এর পরে আবারো খেলোয়াড়দের মধ্যে হট্টগোল হলে ইংরেজি বিভাগে খেলোয়াড়রা ইতিহাসকে বিজয়ী ঘোষণা করে মাঠ ছাড়ে।

এদিকে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় মাঠের পাশে থাকা রেফারি রবিউল ইসলামকে ধাওয়া দেয় ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিজান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শুভ এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নিশাত। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে গিয়ে তারা রেফারিকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় রেফারি গুরুতর আহত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় রেফারিকে ঝিনাইদহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ।

এদিকে রেফারিকে মারধরের কারণে ইতিহাস বিভাগের খেলোয়াড়রা ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়দের মারধর করেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

অতিরিক্ত রেফারি জাহিদুল ইসলাম পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। খেলার মধ্যে হট্টগোল হওয়ার সময়েই প্রশাসনের উচিত ছিল আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, রেফারিকে মারধর করা হয়নি। খেলোয়াড়রা তাকে তাড়া দিয়েছে। পরে প্রশাসন ও সকলের সহযোগিতায় তাদের ঝিনাইদহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ক্রিড়া বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল পূর্বপশ্চিমকে বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমরা শৃঙ্খলা কমিটির সাথে বসেছি। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন