রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার অনুমতি দেবে সরকার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ারমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুলসংখ্যক শিশু অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত হলেও তাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নেই। এবার শিক্ষা দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মিয়ানমারের পাঠ্যসূচিতেই এই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা বিষয়ে সরকার গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান এএফপি।

এএফপি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানায়, রোহিঙ্গা শিশুরা ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত মিয়ানমারের ইতিহাস ও সংস্কৃতিবিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিতে যুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে তারা যেন মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে উপার্জনে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বসবাস করছে। এদের মধ্যে ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ, যাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যা রোধে মিয়ানমারকে কিছু করার আদেশ দেয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতা রফিক বিন হাবিব বলেন, আমি এত খুশি যে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের শিক্ষার কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি।

শীঘ্রই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা করে তাদের জন্য মিয়ানমারের পাঠ্যসূচিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে এএফপি।

আপনি আরও পড়তে পারেন