পালাক্রমে তিন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: আরেকজন গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে বনের ভেতর এক বান্ধবী ও দুই বন্ধুকে গাছে বেঁধে তিন শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ মামলায় রাসেল নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতার সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তিন জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যজনকে সিডব্লিউ মূলে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক।

গতকাল বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন কুমার কর্মকারের কাছে আটক ইউসুফ এবং অপর বিচার আরিফ হোসেনের কাছে বাবুল হোসেন পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এছাড়া একই দিন দুপুরে ধর্ষিতা তিন স্কুলছাত্রী ও তাদের অপর এক বান্ধবী টাঙ্গাইলের চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নওরীন মাহবুব ও ফারজানা হাসনাত নির্যাতিতাদের পৃথকভাবে ২২ ধারায়  জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

২৬ জানুয়ারি ঘাটাইলের একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। বিকেলে চার বান্ধবী ও দুই বন্ধু মিলে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গেলে ঝড়কা বন এলাকায় ১০/১২ জম বখাটে এক বান্ধবী ও দুই বন্ধুকে গাছে বেঁধে অপর তিনজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানি বাড়ি বন এলাকায় আশ্রয় নেয়। পরে সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ধর্ষিত তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে।

এদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার ও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার রেহানা পারভীন নির্যাতিতাদের পরীক্ষা করে তিনজনেরই ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা হওয়ার পরই আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত বাবি আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন