কৃষি জমির মাটি কাটায় তিন স্ক্যাভেটর পুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশমুন্সী বাজারের পাশে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে তিনটি স্ক্যাভেটর আগুনে পুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী ওই এলাকায় হানা দেয়। ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ী কোরাইশমুন্সী বাজারে পৌঁছামাত্রই মাটি ভর্তি দুটো ট্রাক্টর সামনে পড়ে। তাৎক্ষণিক ওই দুটি গাড়ী জব্দ করে। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে মাটি বিক্রেতা ও ট্রাক্টর চালকরা পালিয়ে যায়। পরে উত্তর আবদুন নবী গ্রামে মাটির দালাল কাজী সায়েমের জমিতে অভিযান চালায়। কাজী সায়েমসহ স্ক্যাভেটর মেশিন চালাকরা পালিয়ে যায়। এসময় মাটিকাটা কাজে ব্যবহৃত স্ক্যাভেটর মেশিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ভ্রামম্যমাণ আদালত।

একইদিন লতিফপুর গ্রামে রাজাপুর বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের সামনে আবু সুফিয়ানের জমিতে অভিযান চালায়। সেখানে ট্রাক্টর চালক, স্ক্যাভেটর চালক ও শ্রমিকরা ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত মাটিকাটা কাজে ব্যবহৃত স্ক্যাভেটর মেশিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশ্ববর্তী নন্দীগাঁও গ্রামেও একই চিত্র পাওয়া যায়। সেখানেও স্ক্যাভেটর মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশমুন্সী বাজারের পাশে উত্তর আবদুননবী, লতিফতপুর ও নন্দীরগাঁও গ্রাম থেকে কৃষি জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। ওই গ্রামের মৃত কাজী নুর আহমদের ছেলে কাজী সায়েম ও পূর্বচন্দ্রপুর গ্রামের মো: সোহেল গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে মাটি ক্রয় করে অধিক মূল্যে ইটভাটায় বিক্রি করে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক জমি থেকে গভীর করে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এদিকে মাটি বহনকারী ট্রাক্টও চলাচলের কারণে গ্রামীণ সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এএসআই নিখন চাকমা জানান, মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুযোগী হয়ে গেছে। এতে দুর্ঘটনার আশংকরা রয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, কৃষি জমির যেখানে মাটি কাটা হবে, সেখানে অভিযান চলবে। মাটি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন