বিয়ের ৫ মাসের মাথায় তৃতীয় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনকারী কে এই শিলা?

ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাংসারিক কলহের জেরে রাগ করে শারমিন আক্তার শিলা নামের এক নারী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে মহেশপুর উপজেলার জাগুসা গ্রামে সোহাগের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সোহাগের স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলাকে আটক করেছে। সোহাগ মহেশপুর উপজেলর যাদবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের শফিউল্লাহ ওরফে পান্নুর ছেলে। কেই এই শারমিন আক্তার শিলা?

শারমিন শিলার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। তিনি উপজেলার জাগুসা গ্রামে জসিম উদ্দিনের মেয়ে। ৫ মাস আগে পারিবারিকভাবে সোহাগ হোসেন ও শারমিন খাতুনের বিয়ে হয়। সোহাগ তার তৃতীয় স্বামী।

মহেশপুর থানার ওসি মোর্শেদুল হক খান জানান, মঙ্গলবার রাতে সোহাগ হোসেন শ্বশুর বাড়িতে যায়। রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। দুপুরে ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় স্ত্রী শারমিন বটি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, বিয়ের পর থেকে সোহাগ-শারমিন দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। সম্প্রতি দুই পরিবার বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। বুধবার শারমিন তার স্বামীকে বাবার বাড়ি জাগুসা গ্রামে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দুপুরে সুযোগ মতো তার লিঙ্গ কেটে ফেলে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোহাগকে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে আহত সোহাগ জানায়, আমার স্ত্রী শারমিনের সাথে অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে প্রায়ই আমার সাথে ঝড়গা করতো। আজ আমাকে খবর দিলে শ্বশুরবাড়ি জাগুসা গ্রামে যাই। সেখানে দুপুরে ঘরের মধ্যে সুযোগ বুঝে ধারালো বটি দিয়ে সে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, তার পুরুষাঙ্গের মাঝ থেকে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মহেশপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোহাগের স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলাকে আটক করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধারালো বটি ও কর্তিত পুরুষাঙ্গটি উদ্ধার করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন