দোহারে ছাত্রলীগ সভাপতির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকার দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দোহার উপজেলা, দোহার পৌরসভা, জয়পাড়া কলেজ ও টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ। রোববার সকালে মিছিলটি জয়পাড়া কলেজ থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ ঘুরে পুনরায় কলেজে এসে শেষ হয়। পরে জয়পাড়া কলেজের বটতলায় সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন, দোহার উপজেলা প্রকৌশলী কবির উদ্দিন শাহ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হেয় করেছে। কোন একটি মহলের প্ররোচনায় তিনি ছাত্রলীগ নেতা আমিনুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছে। কবির উদ্দিন শাহকে বলে দিতে চাই কোন মিথ্যা মামলা দিয়ে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে জেলে আটকে রাখা যাবে না। আমরা আশা করি অতিসত্বর আমিনুলের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তা না হলে ছাত্রলীগ কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। এসময় ছাত্রলীগ নেতারা আরো বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা দোহার নবাবগঞ্জের অভিভাবক সালমান এফ রহমান এমপি মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা বিশ্বাস করি। এসময় উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক উদয় হোসেন, সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ, রাহাত মাহমুদ, সাংগঠনিক মহসীন মুন্সী, কাজী প্রান্ত, সিনিয়র সদস্য ফয়সাল মাহমুদ রিকি, পৌরসভা সভাপতি পাপেল মাহমুদ নিজাম, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান সাদ্দাম, দপ্তর সম্পাদক সাফাতুল আজাদ সৌরভ, জয়পাড়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পান্নু চোকদার, সহ সভাপতি দুর্জয় চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান শান্ত ,সাংগঠনিক সম্পাদক ইমারত হোসেন, মো. রুহুল আমীন রনী, মো. মাসুম হোসেন, জয়পাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. নজরুল, যুগ্ম আহবায়ক মো. ইমন। এছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হোসেন সুরুজ, সুরুজ আলম সুরুজ, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী শেখ রুনু সহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য যে, গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দোহার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজের প্রসঙ্গে প্রকৌশলী কবির উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে আমিনুল ও তার সাথে থাকা ৩/৪ জন মিলে কবির উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ উঠে। এসময় তাঁর চোখে থাকা চশমা, টেবিলের গ্লাস সহ কিছু জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে আমিনুল ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে দোহার থানায় মামলা করেণ কবির উদ্দিন।

আপনি আরও পড়তে পারেন