করোনাভাইরাস: বিকল্প বাজারে নজর রাখছে সরকার

করোনাভাইরাসের কারণে চীনের পণ্য আমদানিতে সমস্যার কারণে বাংলাদেশের বাজারে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সেজন্য বিকল্প বাজারে নজর রাখছে সরকার।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই মি. ডেভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান।

করোনার জন্য বাণিজ্যখাতের সমস্যা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই বলার সময় হয়নি কি পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। অনেক আইটেম চীন থেকে আসে। রেডিমেড গার্মেন্টসের ফেব্রিক্স যেটা চায়না থেকে আসে, তবে সমস্যা মূলত বেশি একটি প্রদেশে। তবুও আমরা সেদিকে নজর রাখছি। কারণ সেখান থেকে পণ্য আনতে সমস্যা হলে বিকল্প তো ভাবতে হবে। আর পোশাক ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছে, তারা প্রতিবেদন দিলে বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে।

চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারলে সমস্যা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তান থেকে। চায়নার জন্য পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না। তবে অন্যান্য মশলার সমস্যা হবে কিনা সেটি দেখছি। তবে সমস্যা হলে অন্য মার্কেটে আমাদের যেতে হবে। আমরা লক্ষ্য রাখছি কি সমস্যা হতে পারে।

এফবিসিসিআইকে তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছিল তারা কোনো প্রতিবেদন দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের যারা ব্যবসায়ী তারা জানে এসময় চায়নায় ছুটি থাকে। তাদের কোনো ইমপোর্ট হবে না। তাই ১৩ তারিখ সেখানকার ছুটি শেষ হলে বোঝা যাবে প্রভাব পড়বে কিনা।

বাজারে রসুনের দাম বেড়ে গেছে, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা খুব সিরিয়াস এ ব্যাপারে, আমরা লক্ষ্য রাখছি। আজকে আমি কথা বলবো এ বিষয়ে। এ ধরনের সুযোগগুলো অসাধু ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে যেতে চাই। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চায়না থেকে পণ্য না আসলে সেটি নিয়ে আমরা বসতে চাই। রসুন, আদা, কাপড় নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই জানতে চাইব। পেঁয়াজ নিয়ে যেহেতু তেমন আমদানি নেই তাই সেটি নিয়ে ভাবছি না।

টিপু মুনশি বলেন, দেশি পেঁয়াজ এখনও পুরোপুরিভাবে আসেনি। পুরোপুরিভাবে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আসা শুরু করবে। সে সময় পেঁয়াজের দাম কমবে। মার্কেটে পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে একেবারেই দাম কম হওয়া ঠিক হবে না। খেয়াল রাখতে হবে যেন কৃষকরা দাম পায়। কি দামে কৃষকরা খুশি হয় সেটি দেখতে হবে।

চায়না কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়েছে, তারা ছুটি বাড়ানোর কারণে গার্মেন্টস প্রোডাক্টে গ্যাপ হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আবার ছুটি বাড়ালে গার্মেন্টস সেক্টরে প্রভাব পড়বে। গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যবসায়ীরা কি রিপোর্ট দেয় সেটি দেখতে হবে। তবে রাতারাতি এই সেক্টরে বিকল্প মার্কেট পাওয়া যাবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন