দেশের ৪৪টি জেলায় হচ্ছে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট

সারাদেশের প্রায় দুই কোটি কিডনি রোগীর উন্নত সেবার জন্য দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।

গতকাল শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২৫৫.২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিটগুলো স্থাপন করতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং প্রায় ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার নেফ্রোলজি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগণ উপকৃত হবে।

কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।

তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ বিকল। এই ৪০ হাজার রোগীর মাত্র ২০ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারেন।

কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ সম্প্রতি বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু করেছেন এমন ৭৫ শতাংশ রোগী খরচ বহন করতে না পেরে ছয় মাসের মধ্যেই ডায়ালাইসিস নেওয়া বন্ধ করে দেন।”

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর একে আজাদ খান গতকাল বলেন, “এটি অবশ্যই একটি ভালো সিদ্ধান্ত। জনগণ এতে উপকৃত হবেন।”

তিনি আরও বলেন, “যে কোনো ডায়ালাইসিস কেন্দ্রের পরিচালনা ব্যয় প্রয়োজন। আমরা আশা করি এটি সঠিকভাবে চলবে।”

একনেকের এই বৈঠকে দুই হাজার ১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও আটটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন