মারতেও আসল, পতাকাও টানল, এখন আবার গালাগালি দিচ্ছে!

মারতেও আসল, পতাকাও টানল, এখন আবার গালাগালি দিচ্ছে!

যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় পাঁচ ক্রিকেটারকে শাস্তি দেয় আইসিসি। এরপরই শুরু কথার যুদ্ধ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নেট দুনিয়ার বেশ কয়েকটি মাধ্যমে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক। কেউ বলছেন শাস্তি বেশি হয়েছে। কেউ আবার বলছেন শাস্তি কেবল ভারতীয়দের পাওয়া উচিত ছিল।

তবে গঠনমূলক সমালোচনার মধ্যে আবার গালাগালিও হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশকে নিয়ে, বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন ভারতীয়রা। যার কয়েকটি নমুনা নিচের স্কিনশট তুলে ধরা হলো।

প্রসঙ্গত, ফাইনালে অপ্রত্যাশিত ঘটনার জেরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার-তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান আর ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কে শাস্তি দেয় আইসিসি।

বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের ক্ষেত্রে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।

ভারতের আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন।

এ শাস্তির ফলে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে। ১ সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি। সে অনুযায়ী বেশ বড় শাস্তিই জুটেছে সবার।

আপনি আরও পড়তে পারেন