রাণীনগরে ১বছরেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ

রাণীনগরে ১বছরেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ ॥
স্টাফ রিপোর্টার
, নওগাঁঃ নওগাঁর রাণীনগরে মাত্র ১কিমি গ্রামীণ রাস্তার এইচবিবির কাজ ১বছরেও শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলা সদরের রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, চকজানসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। আগামী মার্চ মাসের ৫তারিখের মধ্যে এই কাজটি সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনা কন্সট্রাকশন। আর এই অল্প সময়ে কেমন কাজ হবে এই আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
অফিস সূত্রে জানা গেছে গত ১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলা সদরের উত্তর রাজাপুর গ্রামের লেবুর দোকান থেকে রক্তদহ বিলের মুখ পর্যন্ত মাত্র ১কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীণ রাস্তার এইচবিবি কাজের জন্য দরপত্র প্রদান করা হয়। আইআরআইডিপি (অগ্রাধিকার প্রকল্প-২) প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ এই রাস্তায় ইট বিছানোর কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩৮লাখ টাকা। এই কাজের মধ্যে রয়েছে ডারার পাশ দিয়ে গুরুত্বপূর্ন স্থানের ২৫মিটার প্যালাসাইড নির্মাণ। গত বছরের ডিসেম্বর মাস ছিলো কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অবহেলা আর গাফিলতির কারণে গত ১বছরেও শেষ হয়নি সামান্য এই কাজটি। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। রাস্তার কোথাও কোথাও ফেলে রাখা হয়েছে বালু, কোথাও প্যালাসাইডের ঢালাইয়ের জন্য রড বের করে রাখা হয়েছে আবার কোথাও রাস্তার গর্তের মাঝে ফেলে রাখা হয়েছে ইটের ভাঙ্গা অংশ। রক্তদহবিল ও আশেপাশের মাঠ থেকে ধানসহ অন্যান্য ফসল বাড়িতে নিয়ে আসা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা এই গ্রামীণ রাস্তাটি। আর দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় জমি থেকে ধান আনাসহ বিভিন্ন কাজের প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবু, মোহসিন আলী, রাহিমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রায় ১বছর যাবত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ সহ্য করে আসছি। কিন্তু সামান্য এই কাজ আর শেষ হচ্ছে না। কাজের জন্য দীর্ঘদিন যাবত রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে বালু, ইট ও বের করে রাখা হয়েছে রড। কিন্তু খবর নেই কাজের লোকের। আর পড়ে থাকা এই সব নষ্ট হওয়া মালামাল দিয়ে রাস্তা করলে কাজই বা কেমন হবে। আমরা চাই অতিদ্রুত সম্পন্ন নতুন করে রাস্তার কাজ শুরু করা হোক আর তা না হলে মাঠ থেকে ধান নিয়ে আসাসহ আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আমরা চরম বিপদে পড়ে যাবো।

ঠিকাদার মো: মিঠু হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিককে বলেন, কাজ চলমান আছে। আর আমি আমার অসুস্থ্য মাকে নিয়ে ব্যস্ত আছি আপনি (সাংবাদিক) পরে ফোন করেন।

নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম জানান, এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। আমি ঠিকাদারকে অতিদ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছি। আগামী ৫মার্চের মধ্যে ঠিকাদার কাজটি শেষ করবেন বলে অঙ্গিকার করেছেন। তারপরও যদি তিনি কাজ শেষ করতে না পারেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিকাশ চন্দ্র প্রাং
নওগাঁ।

https://www.youtube.com/watch?v=BHqOXChmTOE

আপনি আরও পড়তে পারেন