রংপুরের মিঠাপুকুরে ৫২ দিন বয়সী এক কন্যাশিশুকে নিজ হাতে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগে মা খালেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে সত্যতা স্বীকার করায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিতে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হতভাগ্য শিশুটির বাবা সুলতান মাহমুদ নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খালেদাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার জন্য আদালতে নিয়ে গেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার আরও দুই কন্যা আছে। তাদের একজনের বয়স ১৩ বছর। আরেকজনের ৬ বছর। আবারও তার স্ত্রী খালেদা বেগম কন্যা শিশুর জন্ম দেন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই আছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে খালেদা কান্নাকাটি শুরু করেন। বাড়ির লোকজনকে বলেন- তার ছোট সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না। কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বাড়ির আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ দেখতে পান। পরে শিশুর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, পরপর ৩ মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় সুলতানের পরিবারে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। তাই শিশুটিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন তার মা। পরে পুকুরে ফেলা দেয়া হয়।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলীপ পাইকার বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘটনাটি শুনেছি। কীভাবে পুকুরে শিশুটির মরদেহ গেল- এটা রহস্যজনক।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মা খালেদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।