দোহারে কবরস্থানের জমি দখলের চেষ্টা।

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ঢাকা দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের কার্তিকপুরে অবস্থিত কার্তিকপুর কবরস্থানের জমি দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয় মো. রনজু ও মো. আরজু দুই ভাই। কার্তিকপুর কবরস্থানটি স্থাপিত হয় ১৯৯২ সালে। কবরস্থানটি স্থাপিত করার পর ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই এখানে মুসলিম ধর্মের মৃত ব্যক্তিদের মাটি দেয়া হতো। কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে কবরস্থানটি ঘন জঙ্গলে পরিনত হলে স্থানীয় যুব সমাজের ছেলেরা এগিয়ে আসে কবরস্থানটির পরিচর্যায়। নিজেদের অর্থ ব্যয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে কবরস্থান কে আগের পরিবেশে নিয়ে আসে এবং যুব সমাজ এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে কবরস্থানের রক্ষনা বেক্ষন করে আসছিলো। হঠাৎ সোমবার স্থানীয় রনজু ও আরজু দুই ভাই তাদের কবরস্থানের পাশে থাকা জমি মেপে কবরস্থানের জমি সহ খুটি দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এবং নিজেদের বলে দাবী করে। স্থানীয় রনজু ও আরজু দুজনে কার্তিকপুরের মৃত মজিদ মাদবরের ছেলে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থানের সীমানার ভীতর দিয়ে খুঁটি দেয়া হয়েছে। এর ফলে মৃত মুক্তিযুদ্ধা মো. জিন্নত আলীর কবরটি কবরস্থানের সীমানার বাইরে পরে যায়। রনজু ও আরজু যখন কবরস্থানের সীমানার ভীতর তাদের সীমানা নির্ধারণ করে তখন স্থানীয় যুব সমাজ এসে বাধা দেয়। তারা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান। এ বিষয়ে স্থানীয় যুবক কামরুজ্জামান বলেন, তারা কবরস্থানের জমি দখল করার অপচেষ্টা করছে। তারা কাউকে না জানিয়ে কি ভাবে জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করলো এবং কবরস্থানের ভিতর খুঁটি দিয়ে আটকালো। হাসান ভূইয়া ও সোহেল ভূইয়া বলেন, এতোদিন তারা কোন কিছু বললো না, হঠাৎ করে জমি মেপে দখল করে ফেললো। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। কুসুমহাটি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন জানান, তারা কাউকে না জানিয়ে এভাবে কবরস্থানের জমি দখল করতে পারে না। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করেছি, এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সেই সাথে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে রনজু ও আরজু দুই ভাই বলেন, আমরা আমাদের জায়গায় সীমানা নির্ধারণ করেছি। আমরা কবরস্থানের জায়গায় জমি পেয়েছি তাই খুঁটি গেড়েছি। তারা যদি চায় তারা মেপে দেখতে পারে। মাপে যদি পায় তা হলে কবরস্থানের জমি ছেড়ে দিবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন