আম গাছের গোড়ায় গাজা!

আম গাছের ডালের নীচের অংশে পরিমাণ মতো গাজা প্যাচিয়ে প্লাষ্টিক কাগজ দিয়ে তা মুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে চারা গাছের প্যাকেটে ঢুকিয়ে উপরে মাটি দিয়ে ভরাট করে তা ঢেকে দেয়া হয়। দেখতে অবিকল যেন চারা গাছ। এরপর দু’তিনটি করে এক সঙ্গে বেঁধে এগুলো লক্ষস্থলে পাচার করা হয়। অভিনব এমন কৌশলে গাজা পাচারের সময় আখাউড়ায় উজ্জল মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন থেকে রেলওয়ে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুরের সেজামুড়া গ্রামের বাসিন্দা ছেনু মিয়ার ছেলে।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন হয়ে আন্তঃনগর মহানগর গোধূলী ট্রেন যোগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য চারটি আম গাছের চারা নিয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন উজ্জল মিয়া। বিষয়টি স্টেশনে টহলরত রেলওয়ে পুলিশের নজরে আসে। সন্দেহ হলে ট্রেনযাত্রী উজ্জলকে জিজ্ঞাসা করেন পুলিশ। উজ্জল জানায়, ‘এগুলো উন্নত জাতের আমের চারা, ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’। রেলওয়ে পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ করলে নড়েচড়ে বসেন উজ্জল। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আম গাছের আসল রহস্যের কথা পুলিশকে উজ্জল বলে – আম গাছের গোড়ার মাটির আড়ালে গাজা প্যাচানো রয়েছে। এসময় পুলিশ চারটি গাছের গোড়া তল্লাশি করে তিন কেজি গাজা উদ্ধার করে।

এই কৌশলটি বেশ নতুন বলে মন্তব্য করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস। তিনি বলেন, পাচারকারিরা বিভিন্ন কৌশলে মাদক পাচারের চেষ্টা করে। তবে এ কৌশলে মাদক পাচারের ঘটনায় প্রথমবার কাউকে আটক করা হয়। আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে যে ক’টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি রয়েছে সব ট্রেনে অভিযান চালান তারা। কিন্তু মাদক পাচারে চোরাকারবারিরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করলেও পুলিশের চোখ বেশি দিন ফাঁকি দিতে পারেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন