‘আমার বোন কি মাদরাসায় যেতে পারবে না?’

মানিকগঞ্জর সাটুরিয়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রী মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছরের মাত্র ৩ মাস ক্লাস করতে পেরেছে ঐ শিক্ষার্থী। গত দুই মাসে দুইবার তালা ভেঙে ঘরের প্রবেশ করার চেষ্টা করায় পরিবারটি সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। আর বখাটের পরিবারের বলছে, এ সবের কিছুই জানি না।

সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে দরগ্রাম ইউনিয়নের বিলপুলি গ্রামের মেয়ে।

জানা গেছে, একই গ্রামের ইনাম আলীর পুত্র লিটন (১৮) প্রায় এক বছর ধরে মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে বিরক্ত করে আসছে। বখাটে লিটনের ভয়ে সে গেল বছর মাত্র ৩ মাস ক্লাস করেছে। পরে গ্রামবাসী বসে লিটনকে শাসন করে। এরপর ৪ মাস লিটক ঐ ছাত্রীকে কোনও উৎপাত না করলেও বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে তালা ভেঙে ঘরের প্রবশ করার চেষ্টা করে। ছাত্রীর পরিবার চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়।

স্কুলে যাবার পথে মেয়েকে বিরক্ত ও ঘরের প্রবেশ করার চেষ্টার কারণে মেয়েটির মা হেলেনা বেগম শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ছাত্রীর মা হেলেনা বেগম, মেয়ে আমার মাদরাসায় যেতে চাই তো না। পরে সে বলে পাশের বাড়ির লিটন তাকে রাস্তা ঘাটে বিরক্ত করে। আমার স্বামী ৯ বছর ধরে দেশের বাহিরে থাকে। আমি এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থাকি। এভাবে পথে ঘাটে বিরক্ত কারায় আমার মেয়ে মাদরাসায় যেতে পারছে না।

ছাত্রীর বড় ভাই হেলাল আহম্মেদ বলেন, আমাদের কি অপরাধ? আমার বোন কি মাদরাসায় যেতে পারবে না।

নবম শ্রেণির ছাত্রী বলেন, আমি মাদরাসায় কিংবা বাড়ির বাহিরে গেলেও লিটন আমার পিছু নেয়। সারা পথ নানা কটু কথা বলে। ভয় দেখায়। আমি পড়া লেখা করতে চাই, নিয়মিত মাদরাসায় যেতে চাই।

লিটনের বাড়িতে গেলে লিটনকে পাওয়া যায়নি। লিটনের বড় ভাই সহিদুল বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ ও উৎপাতের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

এ বিষয় সাটুরিয়া থানার এসআই মো. আনিস বলেন, লিখিত আভিযোগটি আমাকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষী প্রমাণীত হলে আসামি লিটনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন