বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বিশ্ব অর্থনীতি অন্যরকম হতো: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বিশ্ব অর্থনীতি অন্যরকম হতো। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার পথেই হাঁটছেন তার সুযোগ্য কন্যা। ২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবো।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ডিজেএফবি) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেন্টার ফর ইকোনমিক্স রিসার্চের তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের উপরে যাবো। আমি বিশ্বাস করি, তার (প্রধানমন্ত্রী) হাত ধরেই ২০৩০ এর স্বপ্ন পূরণ হবে এবং ২০৪১-এর স্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে পারবো।

মুস্তফা কামাল বলেন, এবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা দিলেন, বাংলাদেশে যাদের জায়গা-জমি নেই, বসবাস করার মতো ব্যবস্থা নেই, যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই; সবাইকেই জায়গা-জমি দেবেন এবং আবাসনের ব্যবস্থা করে দেবেন। এটা আমেরিকায় সম্ভব না। গোটা ইউরোপেও সম্ভব না। এর চেয়ে বড় শক্তিশালী ভূমিকায় কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হতে পারেন, এটা কল্পনা করতেও ভয় লাগে। তিনি সেটা ডেলিভার করবেন, সেটা আমাদের সবাইকে বিশ্বাস রাখতে হবে।

এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডিজেএফবি। এ সংগঠন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সংগঠন অনেক সুন্দরভাবে কাজ করুক। দেশের মানুষকে বিকশিত করুক। এটাই আমাদের দোয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, তৃণমূলে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ যারা বসবাস করেন, তারা উন্নয়ন চান। শুধু কথার উন্নয়ন নয়, একদম বিগস অ্যান্ড ব্যাগ। দেখতে চান চোখে। সেতু কালভার্ট ইমিডিয়েটলি দেখতে চান তারা। ঘরে বিদ্যুৎ তারা এই বেলায় চান। ভাতা বা অবলম্বন, পরিষ্কার পানির স্বপ্ন – এগুলোই তারা চান।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য-সমর্থন পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ না। আপনারা যে ক’দিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ অবাধ সহযোগিতা দেওয়া হবে।

ডিজেএফবির সভাপতি এফএইচএম হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি হামিদুজ্জামান মামুন। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম ও এএফপির বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সদস্য (সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন