কুমিল্লায় ৬ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, আটক ২

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা ময়নামতির রাণীর বাংলোর ঝোপে ৫ বন্ধু সাথে নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতে প্রেরণ করে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ময়নামতি রানির বাঙলো’র ঝোঁপে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার বাগিলারা গ্রামের মৃত আবুল হাসেম এর ছেলে খোকন মিয়া (২০) ও চান্দিনা উপজেলার রানীরচর গ্রামের মো. মহসিন মিয়ার ছেলে মো. আনিস (২০)।

মামলা সূত্র জানায়, জেলার লাকসাম উপজেলার ছিলইন (উ:পাড়া) গ্রামের এক যুবতির সাথে ২ বছর পূর্বে সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন (১৯) এর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিগত এক মাস আগে রোজিনা আক্তার কুমিল্লা ইপিজেডে নতুন চাকরিতে যোগদান করে তারই সুবাদে বিল্লাল হোসেন গত ২২ ফেব্রুয়ারি রোজিনাকে মোবাইলে ফোন করে কোটবাড়িতে দেখার কথা বলে নিয়ে যায়। দেখা করার সময় এক পর্যায়ে বিবাদী বিল্লাল হোসেন রোজিনা আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের প্রলোভনে পুনরায় বিল্লাল হোসেন ভিক্টিমকে ডেকে কোটবাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিল্লাল হোসেন ও তার ৪/৫ জন সহপার্টিসহ রোজিনাকে নিয়ে সিএনজি যোগে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের রাণীর বাংলোয় নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই বিল্লাল ও তার সহপার্টি মিলে রোজিনার হাত মুখ বেঁধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে এবং রোজিনার সাথে থাকা নগদ ৫ হাজার ১শত টাকা ও একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনা বাহিরে গিয়ে কাউকে জানালে রোজিনাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেয় বিল্লাল হোসেন ও তার সহপার্টিরা।

এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ধর্ষিতামা বাদী হয়ে লিমন (১৯), সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন (১৯), মো. খোকন মিয়া (২০), বুড়িচং উপজেলার মো. আনিসসহ (২০) অজ্ঞাত ৩/৪ জন বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফঁড়ির এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার জানায়, মামলার তদন্তভার গ্রহণের পর (২৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহৃত রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন