পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দই থাকবে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) পিকে হালদারসহ ২০ জনের পাসপোর্ট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন-অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন-আইনজীবী তানজিব-উল আলম। আর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

পিকে হালদারসহ ২০ জন হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, এমএ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নরুজ্জামান, আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পিকে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

পিকে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি কোটি কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পালিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

আদালত বলেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হল, যেন এসব ব্যক্তি কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারেন। স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ নির্দেশ দেয়া হল।

এর আগে আইএলএফএসএল এর আমানতকারীরা তাদের আমানতের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে তাদের জানানো হয় আইএলএফএসএল আমানতের টাকা দিতে অক্ষম। ওই পরিস্থিতিতে আমানতকারীরা কোম্পানিটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

সর্বশেষ আইএলএফএসএল আদালতে একটি লিখিত দিয়ে বলে, বর্তমান অবস্থায় একসাথে সমস্ত পাওনাদারদের পাওনা তারা পরিশোধ করতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে আইএলএফএসএল -এর সাত বিনিয়োগকারী টাকা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইব্রাহীম খালেদকে নিয়োগ এবং পিকে হালদারসহ ২০ জনের বিষয়ে আদেশ দেন।

তবে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে আইএলএফএসএল। সে আবেদন শুনানির একপর্যায়ে আপিল বিভাগ আইএলএফএসএল এর বিষয়ে বিস্তারিতভাবে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও খন্দকার ইব্রাহীম খালেদকে ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত হতে বলেন।

সে সময় সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দেখে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন