সদ্য বহিষ্কৃত নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ওরফে পিউয়ের যৌনবাণিজ্যের বহু কাস্টমারের উপর নজরদারি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, তাদেরকেও খুব শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে।
এরই মধ্যে পাপিয়ার হেরেম খানায় যে সব মন্ত্রী ব্যবসায়ী, আমলা, নেতা গেছেন তাদের অনেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।
এদিকে পাপিয়াকে আটকের পর বেশকিছু ভিডিও ক্লিপিং উদ্ধার করেছে র্যাব। তাতে অনেকের নগ্ন ছবিও পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া যাচ্ছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রটি জানায়, পাপিয়ার এই যৌনবানিজ্য পাঁচতারকা হোটেলের বাইরেও ছিলো বিস্তৃত। এমনকি অনেক ক্ষমতাধররাও তার নেটওয়ার্কে শুধু ঢাকার বাইরে নয়, ব্যাংককেও মনোরঞ্জন নিতেন।
পাপিয়ার অপরাধ বাণিজ্যের সকল তথ্য গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানালে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরেই মূলত তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে একই সূত্রটি আরও জানায়, পাপিয়ার হেরেম খানায় যারা গেছেন ও জড়িত তাদের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয়েছে। তাদেরকেও নজরবন্দি রাখা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকায় যেকোনো সময় তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
